বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ৫ পরামর্শ। বর্তমানে লাখো শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণীর অন্যতম স্বপ্নের নাম বিসিএস। এসব শিক্ষার্থীদের সবাই বিসিএস’র দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিজেকে সফলতার শীর্ষে দেখতে চান। অধিষ্ঠিত হতে চান প্রজাতন্ত্রের সবোর্চ্চ সম্মানজনক পদে। আর এজন্য অনেকেই রাত-দিন নিরলস পরিশ্রম করে বিসিএস নামক সেই সোনার হরিণটিকে ধরতে চান। শত পরিশ্রমের পরও কেন যেন অধরাই থেকে যায় সাফল্য।




দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ পরিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে সফল হয়ে জয়ের মুকুট পরা সত্যিই দু:সাধ্য। এজন্য প্রয়োজন সঠিক নির্দেশনা ও সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিকল্পিত পড়াশোনা ও লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকলে সফলতা অসবেই।




আসুন জেনে নেই যে ৫ টি পরামর্শ অনুসরণ করলে আপনার বিসিএস পরীক্ষায় সফলতা আসবে সুনিশ্চিত:




১. নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে হবে এবং তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে। যা পড়ছি, সেটা কোনো রকমে না পড়ে গভীরে গিয়ে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। প্রয়োজনে যা পড়লাম, তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর অবশ্যই ইংরেজিতে লেখার এবং কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।




২. যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রেই সিলেবাস এবং আগের বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। বিসিএসও ব্যতিক্রম নয়। প্রস্তুতি গ্রহণের আগে অবশ্যই সিলেবাসের কোন কোন বিষয় থেকে এর আগে প্রশ্ন এসেছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এতে সহজেই বুঝতে পারবেন, কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া জরুরি। খেয়াল করে দেখবেন, কিছু বিষয় থেকে নিয়মিতই প্রশ্ন আসে। আবার কিছু বিষয় থেকে খুব বেশি প্রশ্ন আসে না। যেসব বিষয় থেকে প্রশ্ন কম হয়, সেগুলোর পেছনে বেশি সময় নষ্ট করবেন না।




৩. বিসিএসের সাফল্য অনেকটা নির্ভর করে বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ, ইংরেজি ব্যাকরণ ও অনুবাদ, গণিত ও মানসিক দক্ষতা, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধ এবং চলমান প্রধান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দ্বন্দ্বের পরিষ্কার ধারণার ওপর। এগুলোর কোনোটাতে দুর্বলতা থাকলে অবশ্যই তা দূর করতে হবে।




৪. বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় যে বিষয়টি আপনাকে এগিয়ে দেবে সেটা হলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্তের জ্ঞান। সেগুলো একত্র করে নোট রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং কোনো তথ্য পরিবর্তিত হলে সেটাকে হালনাগাদ করতে হবে।




৫. বিসিএসের প্রস্তুতি মানে সারা দিন বিসিএসের বইয়ে মুখ গুঁজে রাখা নয়। নিয়মিত খবর দেখা, পত্রিকা পড়া, খেলা দেখা, গান শোনা, কবিতা পড়া, গল্প-উপন্যাস পড়া, আড্ডা দেওয়া, ভালো ইংরেজি ও বাংলা সিনেমা দেখা, দর্শনীয় স্থানে কিংবা নিজের এলাকায় বেড়ানো—এসবও কিন্তু পরোক্ষভাবে একজন ক্যাডার হিসেবে আপনাকে গড়ে তুলবে। আপনি আপনার এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন কি না, দেশের উল্লেখযোগ্য নিদর্শনগুলো দেখেছেন কি না, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিংবা বিখ্যাত বই-নাটক-সিনেমা সম্পর্কে অবগত আছেন কি না ভাইবাতে কিন্তু এসবও দেখা হয়।