







মানবতা বাঁ’চানোর অন্যতম উদাহরণ ধরা পরল আবারো। ঝাড়খণ্ডের এক মহিলা পু’লিশ অফিসার শিশুর জন্য দু’ধ জোগাড় করে তুলে দিলো তার মায়ের হাতে। এমন নজির বহুবার সাধারণ মানুষের চোখে পড়েছে সংবাদমাধ্যমের দ্বারা। আবারও তার অন্যথা ঘটলো না। উর্দি পরে প্রশাসনিক ভূমিকা পালন করার সাথে সাথে একজন মহিলা পু’লিশ অফিসার নিজের মানবিকতার দিকটি তুলে ধরলেন জনসমক্ষে।




মেহেরুন্নিসা নামে মহিলা বেঙ্গালুরু থেকে গোরখপুর যাচ্ছিলেন। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন করা হয়েছিল তাদের জন্য। বেঙ্গালুরু-গোরখপুর ট্রেনটি হাতিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। সেই সময় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুশীলা বদনাইক স্টেশনের ডিউটিতে ছিলেন।একজন মহিলা যাত্রী এএসআইকে জানিয়েছিলেন যে তার বাচ্চা ক্ষুধার্ত।




মেহেরুন্নিসা নামে মহিলা বেঙ্গালুরু থেকে গোরখপুর যাচ্ছিলেন। রবিবার সকাল ৬টায় ট্রেনটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার হাতিয়া স্টেশনে থামে বলে জানা গেছে।মেহেরুন্নেসা নামক মহিলাটি এএসআইকে বলেছিলেন যে প্ল্যাটফর্মের দোকানগু’লি বন্ধ ছিল এবং স্টেশনের বাইরে কোনও দুধের দোকান নেই।




সেই কারণে নিজে শিশুর জন্য দু’ধ আনতে পারেনি তিনি। ঠিক সেই সময় ঐ মহিলা পু’লিশ অফিসার নিজের বাইকে করে নিজের বাড়ি গিয়ে একটি গরম দু’ধের বোতল নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে এসে ক্ষু’ধার্ত বাচ্চাটির মায়ের হাতে তুলে দেন। মেহেরুন্নেসা নামক মহিলাটি তার বাড়ি মধুবনী যাচ্ছিলেন।রেলওয়ে পু’লিশের এক কর্মকর্তা ওই মহিলা এ এস আই কে উদ্দেশ্য করে লেখেন “শিশুটি কাঁ’দছিল, এবং আমি দুধ আনতে ছুটে যাই”।




মেহেরুননিসার হাতে ওই মহিলা পু’লিশ কর্মীর দু’ধের বোতল তুলে দেওয়ার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর মন জয় করেছে।একই রকম ঘটনা ভোপাল থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। সাফিয়া নামে এক যাত্রী যিনি কর্ণাটক থেকে গোরক্ষপুরে শ্রমিক ট্রেনে চলাচল করছিলেন বলে জানা গেছে, আরপিএফ কনস্টেবল ইন্দ্র সিং যাদবকে তার ক্ষু’ধার্ত মেয়ের দু’ধ এনে দিয়ে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।




সেই সময় ইন্দর সিং যাদব নামে ওই পু’লিশ অফিসার যাত্রীদের বেলগাঁও-গোরখপুর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে চলাচল না করতে বলার জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা দিতে ব্যস্ত ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে যাওয়ার সময় ট্রেনটি কিছুক্ষণের জন্য ভোপালে থেমেছিল।অ্যানাউন্সমেন্ট হয়ে যাওয়ার পরেও এক মহিলা তার শিশুর দু’ধের জন্য অনুরোধ করেছিলো পু’লিশ অফিসার কে। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনের বাইরে দোকান থেকে দু’ধের বোতল কিনে স্টেশনে পৌঁছান পুলিশ অফিসার। ততক্ষণে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। তবুও ট্রেনের পাশে প্ল্যাটফর্ম ধরে ছু’টতে ছু’টতে ক্ষুধার্ত শিশুর মায়ের হাতে বোতলটি তুলে দিয়ে নজির গড়েন তিনি।



















