রাতে গয়নাগাটি নিয়ে পালাল বউ- অনেক আয়োজন করে বিয়ে করেছিলেন প্রবীণ। খরচ হয়েছে চার লাখ। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে আনন্দ ও হই-হুল্লোড় ছিল সবার। তবে সব আনন্দ ম্লান কর দিল আনন্দের মধ্যমণি অর্থাৎ বধূ। বাসর রাতেই খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে অবচেতন করে গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন ‘ঘরের লক্ষ্মী’!




হতভাগা বরের নাম প্রবীণ। আর আলোচিত ওই কনের নাম রিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে ভাতের উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলার ছোটা পাড়ায়। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছে সর্বস্বান্ত পরিবার।




পুলিশ জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর বিয়ে হয় প্রবীণ-রিয়ার। রিয়া আজমগড়ের বাসিন্দা। বিয়ের রাতেই ৭০ হাজার টাকা আর তিন লাখ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছেন রিয়া।
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ করছে ঘটক রিংকুকে। পাত্রের বাবা রাম লাডেটে জানিয়েছেন, ছেলের বিয়েতে চার লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। বিয়ের আগেই রিংকু তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে জানিয়েছিল, এই টাকা তিনি কন্যাপক্ষকে দেবেন।




কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, এ টাকা মেয়ের বিয়ের গয়না বানাতে খরচ করা হবে। কারণ, পাত্রীপক্ষ খুব গরিব।
নতুন বউয়ের কাণ্ডে হতাশ বর প্রবীণ। বউ যে এভাবে সব হাতিয়ে, পরিবারের সবাইকে বোকা বানিয়ে পালাবেন, তা কখনও ভাবেননি তিনি।
আমরা কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না: মমতা




ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আমরা সবাই নাগরিক। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের আদর্শ। আমরা কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। আমরা এনআরসি ও সিএএ-কে বাংলায় ঢুকতে দেব না। আমাদের শান্তি বজায় রাখতে হবে।




সোমবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন এবং এনআরসির প্র”তি”বা”দে রেড রোড থেকে মমতার নেতৃত্বে বি”ক্ষো”ভ মিছিল শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মিছিলটি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে শেষ হবে।




এর আগে গত বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুরু হয় বি”ক্ষো”ভ-প্র”তি”বা”দ। বহু জায়গায় রাস্তা অ’ব’রো’ধ করার পাশাপাশি স্টেশন ও ট্রেনে আ”গু”ন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।




এই পরিস্থিতিতে সোমবার বি”ক্ষো”ভ মিছিলের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এর আগে রোববার বি”ক্ষো”ভ”কা”রী”দের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, রাস্তা ও রেল অবরোধ করবেন না।




সাধারণ মানুষের হেনস্তা মেনে নেয়া হবে না। যারা এটা করছে ও হাতে আইন তুলে নিচ্ছে তাদের ছাড়া হবে না। যারা বাসে আ”গু”ন লাগাচ্ছে, ট্রেনে আ”গু”ন লাগাচ্ছে ও জনতার সম্পত্তি নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




এদিকে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সোমবারের বি”ক্ষো”ভ মিছিল ঘোষণা করার পরই রাজ্যপাল পাল্টা টুইট করে জানিয়ে দেন তিনি ‘অত্যন্ত বিরক্ত’ এই ‘অসাংবিধানিক’ কাজে।
তিনি টুইটে বলেন, আমি অত্যন্ত বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীদের ক্যাবের বিরুদ্ধে মিছিল করার সিদ্ধান্তে। এটা অসাংবিধানিক। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে এই অসাংবিধানিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলছি এই স”ঙ্ক”ট মুহূর্তে এবং এ মা”রা”ত্ম”ক পরিস্থিতিকে শুধরানোর জন্য বলছি।
এদিকে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যে শুরু হওয়া সং”ঘ”র্ষে”র ঘটনায় বহু জায়গার ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও হাওড়া জেলা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিাবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নাগরিকত্ব আইনে ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।