









চুলের যত্নে মেহেদি প্রায় প্রতিটি মানুষই ব্যবহার করে থাকেন। আগের দিনে চুলের যত্নে বা চুলের রং করতে মেহেদিকে ব্যবহার করা হত। চুলের গোড়া মজবুত করা, চুলের রুক্ষতা দূর করা নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের নানা সম্যসা দূর করে থাকে মেহেদি। কিন্তু মেহেদি লাগানোর আগে কিছু নিয়ম আছে যা অবশ্যই পালনীয়। অনেক সময় এই নিয়ম না মানার কারণে মেহেদির সঠিক ফল পাওয়া সম্ভব হয় না।





আসুন জেনে নিই চুলে মেহেদি লাগানোর কিছু টিপস। ১। মাথার তালুতে কোন ইনফেকশন থাকলে মাথার তালুতে কোন ইনফেকশন থাকলে বা অন্যকোন সমস্যা থাকলে মেহেদি লাগাবেন না। মেহেদি তালুর ইনফেকশন আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এক দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। ইনফেকশন ভাল হলে তারপর মেহেদি লাগান।





২। চুল কালার করা থাকলে: আপনি যদি চুল রং করে থাকেন, তবে মেহেদি লাগাবেন না। কেমিকাল রং এবং মেহেদি রং দুটি মিশে আপনার চুলের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। চুলে রং লাগানোর ৬ মাস পর মেহেদি লাগাবেন।
৩। ভ্যাসলিনের ব্যবহার:





চুলে মেহেদি লাগানোর সময় কপাল, কানের আশেপাশে মেহেদি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কপালে, কানের আশেপাশে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। এতে করে এই অংশগুলোতে মেহেদি রং লাগবে না।
৪। লেবুর রসের ব্যবহার: অনেকেই মেহেদির প্যাকে লেবুর রস ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু মেহেদিতে লেবুর রস ব্যবহার করা উচিত নয়। লেবুর রসে অ্যাসিড আছে যা চুলকে শুষ্ক করে দেয়। লেবুর রসের পরিবর্তে আপনি চায়ের লিকার বা কফি ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেহেদির রং আরও গাঢ় করবে।
৫। সময় দিন: মেহেদি লাগিয়ে সাথে সাথে চুল ধুয়ে ফেলবেন না। কমপক্ষে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এতে মেহেদির রং চুলে ভালভাবে বসবে। তাই হাতে সময় নিয়ে চুলে মেহেদি লাগান।
৬। চুল রুক্ষ করে তোলে: অনেকেই বলে মেহেদি চুল রুক্ষ করে থাকে। হ্যাঁ আপনার মাথার তালু রুক্ষ হলে মেহেদি চুল রুক্ষ করে তুলবে। তাই মেহেদির প্যাকের সাথে তেল, টকদই ব্যবহার করুন। কিংবা মেহেদি লাগিয়ে শ্যাম্পু করে মাথায় তেল লাগান।
টিপস:
১। মেহেদির পেস্ট ঘন করার জন্য এতে চিনি ব্যবহার করুন।
২। যেদিন মেহেদি দিবেন তার আগের দিন চুলে তেল দিন। এতে করে মেহেদি লাগানোর পর চুল আর রুক্ষ হয়ে যাবে না।





৩। গাঢ় রং পাওয়ার জন্য ফ্রেশ মেহেদি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ২-৩ বার লাগানোর পর স্থায়ীভাবে চুল রং হবে।
৪। মেহেদির সাথে অতিরিক্ত উপাদান যোগ করবেন না। এটি চুলের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করতে পারে বেশি।
৫। মেহেদি লাগানোর পর চুলে হেয়ার ক্যাপ ব্যবহার করুন। এতে চুল থেকে মেহেদি কাপড় বা গায়ে পড়বে না।
ভাতের মাড় ফেলে দিচ্ছেণ? জেনে নিন ভাতের মাড়ের অজানা গুণাগুণ





সাধারণত আমরা ভাত রান্না করে মাড় ফেলে দেই! কিন্তু এই ভাতের মাড়ের রয়েছে অসাধারণ সব উপকারিতা। ভাতের মাড়ের সঠিক ব্যবহার হলে আমরা অনায়াসেই লাভ করতে পারি অনেক সুবিধা। চলুন, জেনে নেয়া যাক- ভাতের মাড় আমাদের ত্বক সুস্থ রাখে, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।





মুখ পরিষ্কার রাখতে ভাতের মাড় দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভাতের মাড় দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নিয়মিত মাড় দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে। শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেই নয়, ভাতের মাড় মানব দেহে শক্তি ও কার্বোহাইড্রেট বৃদ্ধি করে। যাদের পেটের সমস্যা আছে তার মাড় খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন। নিয়মিত মাড় খেলে হাই ব্লাড প্রেশার ও দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।





























