জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশেষ কিছু লক্ষণ সম্পন্ন মেয়েদের প্রেমিকা বা স্ত্রী হিসেবে ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে পু’রুষদের স’তর্ক করে দিয়েছে। তবে এই সব লক্ষণ যদি কোনও পু’রুষের হাতে থাকে, তাহলে প্রেমিক বা স্বামী হিসেবে তিনিও বি’পজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন।
করো’ষ্ঠী বা হস্তরেখাবিচার শাস্ত্রে বলা হয়, হাতের তালুর বিবাহরেখাই কোনও মানুষের প্রেম বা দা’ম্পত্যজীবনে সুখের ই’ঙ্গিত দেয়। হাতের (পু’রুষদের ক্ষেত্রে ডান হাত, আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাঁ হাত) পাশ বরাবর, কড়ে আঙুলের নীচে, যে আড়াআড়ি রেখা, সেটিই বিবাহরেখা (ছবি দেখুন)।
বিবাহরেখা সাধারণত খুব স্পষ্ট বা গ’ভীর হয় না। অনেকের হাতে একাধিক বিবাহরেখাও থাকতে পারে। বলা হয়, হাতের এই রেখা দেখেই বলে দেওয়া সম্ভব, কোনও মানুষ তাঁর প্রেমজীবনে কেমন ভূমিকা পালন করবেন। এ-ও বলা হয় যে, কয়েকটি বিশেষ ল’ক্ষণ যদি আগে থেকেই মিলিয়ে নিয়ে সত’র্ক হওয়া যায়, তাহলে প্রেম বা দা’ম্পত্যজীবনের বি’পর্যয় এড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে হাতের তালুতে বিশেষ কিছু লক্ষণ সম্পন্ন মানুষকে জীবনস’ঙ্গী হিসেবে বেছে না নেওয়াই ভাল। কী ধরনের লক্ষণ? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
১. যদি অধিকাংশ বিবাহরেখাই নীচের দিকে মুখ করে থাকে: খেয়াল করুন, আপনার নির্বাচিত মানুষটির হাতের বিবাহরেখাটি (একাধিক রেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্পষ্ট রেখাটি) তালুর দিকে যত এগিয়েছে, তত নীচের দিকে নেমে গিয়েছে কি না। এমনটা যাঁদের হাতে থাকে, তাঁদের দা’ম্পত্যজীবনে সাধারণত নানা ধরনের অ’শান্তি দেখা দেয়।
২. যদি উপরে-নীচে ছোট ছোট অনেকগুলি সমান স্পষ্টতা সম্পন্ন বিবাহরেখা থাকে: এই ধরনের মানুষের স’ঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে, চিরকালই আপনাকে একতরফা ভালবাসার সমস্যায় ভুগতে হবে। আপনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসবেন, কিন্তু তিনি বাহ্যত আপনাকে ভালবাসার ভান করলেও, মনে মনে খুঁজবেন নিত্যনতুন স’ঙ্গী বা স’ঙ্গিনী।
৩. যদি সবচেয়ে স্পষ্ট বিবাহরেখাটি হাতের তালুর দিকে দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়: বিবাহরেখাটি (একাধিক রেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্পষ্ট রেখাটি) যদি তালুর দিকে আড়াআড়ি ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, তাহলে তা সম্ভাব্য ব্রেক আপ বা ডিভোর্সের লক্ষণ। কোনও মানুষের হাতে এই লক্ষণ থাকলে, তাঁকে জীবনসঙ্গী বা ‘স’ঙ্গিনী হিসেবে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিচ্ছে জ্যোতিষ শাস্ত্র।
৪. যদি অনেকগুলি স্পষ্ট, গভীর ও দীর্ঘ বিবাহরেখা থাকে: এই ধরনের রেখা সম্পন্ন মানুষদের প্রতি বিপরীত লি’ঙ্গের মানুষজন অতি সহজেই আকৃষ্ট হয়। ফলে অনেক সময়েই এঁদের দাম্পত্য বা প্রেমজীবনে অশান্তি দেখা দেয়। এরকম মানুষকে যদি নিজের জী’বনস’ঙ্গি বা স’ঙ্গিনী হিসেবে নির্বাচন করেন, তাহলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। জেনে রাখুন, তিনি আপনাকে গভীরভাবেই ভালবাসবেন, কিন্তু তাঁর আশেপাশে এমন অনেকে থাকবেন, যাঁরা আবার তাঁকে ভালবাসবেন মনপ্রাণ দিয়ে।