









স্বাধীনতা যু দ্ধকালে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইউনিট, সেক্টর, বিগ্রেড থেকে পাওয়া খেতাবের জন্য সুপারিশসমূহ এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে একটি কমিটি দ্বারা নিরীক্ষা করা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেতাব তালিকায় স্বাক্ষর করে।





১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সকল মুক্তিযাে’দ্ধার নামসহ মােট ৬৭৬ জন মুক্তিযােদ্ধাকে নিম্নোক্ত খেতাব প্রদান করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ- ৭ জন। বীর উত্তম- ৬৮ জন বীর বিক্রম- ১৭৫ জন বীর প্রতীক- ৪২৬ জন । ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাব প্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয়। ২০০১ সালের ৭ মার্চ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযাে’দ্ধাদের আর্থিক পুরস্কার এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। বাহিনীভিত্তিক খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা নিম্নরূপঃ সেনাবাহিনী – ২৮৮ জন নৌবাহিনী – ২৪ জন বিমান বাহিনী – ২১ জন বাংলাদেশ রাইফেলস – ১৪৯ জন পুলিশ – ৫ জন ।





মুজাহিদ/ আনসার – ১৪ জন গণবাহিনী – ১৭৫ জন খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন মহিলা। পাঁচজন অবাঙালিও বীরত্বসূচক খেতাব পান, যাদের মধ্যে একজন বিদেশি। বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে ৩ জন সেনাবা’হিনীর, ১ জন নৌবাহিনীর, ১ জন





বিমানবাহিনীর এবং ২ জন ইপিআরের । মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র আদিবাসী বীর বিক্রম ইউ কে চিং মারমা। বীর প্রতিক খেতাব প্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি মুক্তিযাে’দ্ধা ডব্লিউ এস ওয়ান্ডারল্যান্ড। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত দুজন নারী তারামন বিবি (১১ নং সেক্টর) ও সেতারা বেগম (২নং সেক্টর)। মুক্তিযুদ্ধে বীরযাে’দ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর-কাকন বিবি (খাসিয়া সম্প্রদায়ে জন্ম) আসল নাম কাকন হেনইঞ্জিতা। স্বাধীনতার আগে তিনি এক মুসলমানকে বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করেন। নাম হয় কাকন ওরফে নূরজাহান। স্বামী মজিদ খান ছিলেন ইপিআর সৈনিক। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকে বীরপ্রতীক উপাধীতে ভূষিত করার ঘােষণা দেন। কিন্তু আজও তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি। সর্বকনিষ্ঠ খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযাে’দ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু (বীর প্রতীক)।





উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ খেতাবপ্রাপ্ত বীরউত্তম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ (কর্ণেল জামিল নামেই পরিচিত)। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় নি”হত





হন। তাই তাকে ২০১০ সালে মরণােত্তর বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তাই মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত বীরউত্তম ৬৮ জন। কিন্তু মােট খেতাবপ্রাপ্ত বীরউত্তম ৬৯ জন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সােহরাওয়ার্দী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মােজাফফর আহমেদকে বীর বিক্রম খেতাব দেয়া হয় ।





তাই মুক্তিযু’দ্ধে ১৭৫ জন বীর বিক্রম খেতাব পেলেও মােট বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ১৭৭ জন । বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা: এখন পর্যন্ত মােট ১৮৮ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। মুক্তিযু’দ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা: ১) বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা পান ১ জন।বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা দেওয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। ২) বাংলাদেশ মুক্তিযু’দ্ধ সম্মাননা পান ১৫ জন। ৩) মুক্তিযু’দ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পায় ৩১২ জন ও ১০টি সংগঠন।
























