









চলন্ত গাড়িতে হঠাৎ মৃ’ত্যু চালকের, কাঁদতে কাঁদতে গাড়ি থামিয়ে দিল তার ১০ বছরের ছেলে – মৃত্যু কখন কিভাবে কার দরজায় এসে কড়া নাড়ে তা কেউ বলতে পারে না। সত্যিই তো কার কখন কি হয়ে যায়, কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়, সেটা কেউ বলতে পারবে না। শুধু দুর্ঘটনাই নয়,





যেকোন ঘটনাই কোন ভালো ঘটনাও হঠাত করেই হতে পারে এবং এই ঘটনার জন্যে কাউকেই দোষ দেওয়া যায় না। হুট করে কারুর মৃত্যু, কোন দু’র্ঘটনা, কোন কারুর প্রোমোশন ইত্যাদি আগে জানান দিয়ে আসে না। ধরুন আপনার অফিসে আপনার প্রোমোশন হবে কোন একদিন, আপনি তো আর সেটা আগে থেকে জানবেন না, যদি না আপনাকে সব কিছু জানানো হয়।





রাস্তা পার হওয়ার সময় কোন গাড়ি এসে ধাক্কা মারবে, সেটা তো আর জানিয়ে হবে না। যদি না আপনি ইচ্ছে করে গাড়ি আসার মুহূর্তেই রাস্তা পার হন। কিন্তু মৃত্যু ? মৃত্যু কি ? ওই মুহূর্তে কি হয় ? তার পরই বা কি হয় ? এসব আমাদের অজানা, সুতরাং আমরা এরম কোন একটা ধারনা করতে পারিনা যে মৃত্যুও জানিয়েও আসে।





এক মারাত্মক দু’র্ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকে। শ্রমিক দিবসেও ছুটি নেয়নি সে, বেরিয়েছিলেন অন্য দিনের মতই। স্কুলের ছুটির জন্নেই বাবার সঙ্গে বেরিয়ে ছিলেন তার ১০ বছরের ছেলেও। কিন্তু এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সেটা কেউ কল্পনাতেও আনে নি। এই ব্যাক্তির নাম শিবকুমার, কর্ণাটকের বাসিন্দা উনি। কাজে বেরিয়েছিলেন অন্যান্য দিনের মতই।





একটি ফ্যাক্টরি থেকে প্রেসার কুকার নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছিলেন দোকানে। প্রায় ৯৭ কিমি গাড়ি চালিয়ে দুপুর ১২ টা নাগাদ যখন প্রায় পৌঁছে গেছেন গন্তব্যে তখনই তার হার্ট অ্যাটাক হয়। স্টেয়ারিং ধরে বসে থাকতে থাকতেই মারা যান উনি। পাশেই ছিল ১০ বছরের ছেলে পুনিত, এরম পরিস্থিতির সামনে পড়ে আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্টেয়ারিং সামলে রাস্তার ধারে গাড়ি থামায় সে। বুদ্ধির জোড়ে সেদিন অনেক মানুষের প্রান বাঁচায় সে। কিন্তু বাবাকে হারালো ১০ বছরের ছোট্ট পুনিত।


































