









রান্না করার সময় হ’ঠাৎ করে কিংবা ভুলবশত তরকারিতে লবণ বেশি প’ড়ে যেতে পারে; তাই বলে কি তরকারি ফে’লে দিতে হবে? না তা ক’রতে হবে না আপনাকে। আপনি চাইলে তরকারির এ অতিরি’ক্ত লবণ সরিয়ে ফেলতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু কৌশল জানতে হবে।





চলুন তবে সে কৌশল জে’নে নেওয়া যাক:রান্না করা সবজিতে লবণ বেশি হলে এতে আরও কিছু সবজি মিশিয়ে দিন। এতে করে লবণের পরিমাণ কমে যাবে।ঝোলের তরকারি হলে ২/৩ টি টমেটো ৪ ফালি টুকরা করে কে’টে মিশিয়ে দিন। এতে লবণ কমে যাবে।





আটা জলে গুলে খামির তৈরি করে ফেলুন। খানিকটা নরম হলেও কোন স’মস্যা নেই। গোল করে খামির তরকারিতে মাঝে মাঝে দিয়ে দিন। খামির দেওয়ার পর শক্ত হয়ে যাবে এবং তরকারির অতিরি’ক্ত লবণ শুষে নিবে।





১ চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন তরকারিতে। এটিও লবণ কমাতে সহায়ক।আলু ছোট ছোট টুকরা করে তরকারিতে দিবেন। আলু সেদ্ধ হতে টেনে নেবে লবণ।স্যুপ বা তরল খাবার হলে পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।টক দইও তরকারিতে লবণ কমাতে সহায়তা করে। তবে সেজন্য তরকারির ধ’রণ বুঝে ব্যবহার করবেন ।মোটা করে পেঁয়াজ কে’টে তরকারিতে দিতে পারেন। লবণ কমে যাতে এতে। ভাজা ধ’রণের রান্না হলে পেঁয়াজ ছোট কুচি করে মিশিয়ে দিতেন পারেন।





বিয়ের অনুষ্ঠান না করে ৩০০ জন গরীব মানুষকে একবেলা পে’ট পুরে খাওয়ালেন এ দম্পতিবিয়ের অনুষ্ঠানে লোকজন ডেকে না খাইয়ে ৩০০ জন গরীব মানুষকে একবেলা পে’ট পুরে খাওয়ালেন এক নব দম্পতি। বাঙালির বিয়ে মানে যেখানে তিন দিনের বিশাল অনুষ্ঠান, জাঁকজমক। আর সেখানে খাদ্যরসিক বাঙালির জন্য থাকবে নানা খাবারের আয়োজন। পাত্র-পাত্রী পক্ষের আর্থিক অবস্থা যেমন হোক আয়োজনটা চাই ষোলোআনা।





তবে এমন লোক দেখানো বিয়ে করার কোন রকম ইচ্ছাই ছিল না দেবীপ্রসাদ ও তিথি দম্পতির। তারা চেয়েছিলেন খুব সাধারণ ভাবে বিয়ে ক’রতে। সেটাই কাজে করে দেখিয়েছেন প্রফেসর দম্পতি দেবীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও তিথি দে। ‘অতিসাধারণ’ বিয়েতে তাঁরা খাওয়ালেন শুধু ৩০০ জন গরীব দুঃখী মানুষের





এই দম্পতি দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানার বাসিন্দা। পেশায় দুজনেই কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক। দেবীপ্রসাদের ক’র্মস্থল ব্যরাকপুরের রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। তিথি নেতাজী নগর কলেজে’র দিবাবিভাগের অধ্যাপিকা। বছর পাঁচেক আগেই শুরু হয়েছিল প্রেম। তারপরই ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়েছে স’ম্পর্ক। বিয়ের সি’দ্ধান্ত নিয়েছেন চলতি বছরেই।





এভাবে বিয়ের সি’দ্ধান্ত কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে দেবীপ্রসাদ বলেন, ‘এমন অনেক মানুষ আছেন যারা দিনের পর দিন খেতে পায় না। আর একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে লোকে শেষ ক’রতে পারে না। বেঁ’চে যাওয়া খাবার ন’ষ্টও কম হয় না। এসব বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছু নয়। এই আয়োজন ক’রতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তা দিয়ে যদি না খেতে পাওয়া মানুষের পে’ট ভরে তবে সেটাই আ’সল সার্থকতা। সেটাই।’





এই দম্পতির বিয়ের ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই প্রশংসা করছেন তাঁদের এমন ব্য’তিক্রম সি’দ্ধান্তের। কিন্তু কতজন তাঁদের মতো সাহসী হয়ে উঠতে পারবেন তা বলা মুশকিল। কিন্তু তবু কিছু দৃষ্টান্ত থাকে যা ভাবতে শেখায়। তেমনই দৃষ্টান্ত নবদম্পতি দেবীপ্রসাদ-তিথি।


































