









প্রথমে রাজীব, তারপর কিষাণ আর তৃতীয়বার ২০১৮ সালে রোশন সিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। পঞ্জাবে গিয়ে ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুদের নিয়ে বসে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং রোশন সিংয়ের বিয়ের আসর। পঞ্জাব থেকে বিয়ে সেরে ফেরার পর মধুচন্দ্রিমার জন্য উড়ে যান টলিউডের এই প্রথম সারির অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকে সবকিছু ভাল চললেও, ২০২০-র শেষ থেকে শ্রাবন্তী-রোশনের সংসারে যেন অশান্তির মেঘ ঘনিয়ে আসতে শুরু করে। শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি নাকি রোশনকে ছেড়ে আলাদা থাকছেন শ্রাবন্তী। দুজনের মধ্যে জোরদার মনোমালিন্য শুরু হয়েছে বলে খবর।





তবে এই সাংসারিক সমস্যার মাঝেই বাংলাদেশী এক যুবকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে আপত্তিকর প্রস্তাব পাঠানোর অভিযোগে মাহাবুবুর রহমান (৩৩) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।





বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রিমান্ড আবেদনের শুনানী শেষে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।





মাহাবুবুর রহমান খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ৬/১ বকশিপাড়া রোডের বাসিন্দা সামছুল আলম সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আতিকুর রহমানের ছেলে।





জানা গেছে, শ্রাবন্তী এ বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচার চেয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের নির্দেশে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি গত ১৬ নভেম্বর দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এই মামলায় অভিযুক্ত মাহাবুবুর রহমানকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।





মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত মাহাবুবর রহমান শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ম্যানেজ করে তাতে বিভিন্ন সময় কল করতো। কিন্তু শ্রাবন্তী অপরিচিত নাম্বারের কল না ধরায় তাকে নানা ধরনের আপত্তিকর ও কুপ্রস্তাব লিখে ম্যাসেজ দিতো মাহাবুব। এক পর্যায়ে বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে শ্রাবন্তী ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন।





মামলাটির বাদি হয়েছেন সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই মো. খালিদ উদ্দিন। এর তদন্ত করছেন, একই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার। শ্রাবন্তীকে আপত্তিকর ম্যাসেজ প্রদানে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।





এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮/৩১ ধারায় মামলা দায়েরের পর আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
























