মুক্তিযুদ্ধ : যখন কোন দেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে শত্রু পক্ষের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে তখন সেটা মুক্তিযুদ্ধ।যেমন– বাংলাদেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধ : যখন কোন দেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে সেটা স্বাধীনতার যুদ্ধ। যেমন: যুক্তরাষ্ট্র।




পৃথিবীতে ঘোষণা দিয়ে স্বাধীন হওয়া দেশ মাত্র দুটি। একটি বাংলাদেশ! অপরটি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের বিজয় অর্জন করতে ৯ মাস সময় লেগেছিল। আমেরিকার লেগেছিল ৭ বছর।
আমরা পাকিস্তানিদের আত্নসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিলাম। কিন্তু আমেরিকা যুদ্ধ করলেও ব্রিটিশদের পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করতে পারে নাই।
“প্যারিস চুক্তি” করে তারা বৃটেন থেকে স্বধীনতা লাভ করে।




মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছিল। এটা ব্যতিক্রম কিছু ছিল না। যুগে যুগে যুদ্ধে এই প্রথা প্রচলিত হয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্র ও রসদ দিয়ে সাহায্য করেছিল ফ্রান্স ও স্পেন। এই সহযোগিতা করতে গিয়ে ফ্রান্স অর্থনৈতিক ভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়।
একই ভাবে ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ ও সংঘটিত হয়েছিল এক দেশ আরেক দেশ কে যুদ্ধে সাহায্য করার কারণে।




আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। পৃথিবীতে আরেকটা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিল। সেটা হচ্ছে ভিয়েতনাম যুদ্ধে।
১৯ বছর ধরে চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৭৫ এ। আমাদের ৪ বছর পর!!
অথচ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানীতে আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দী ভিয়েতনাম। তারা ২য়, আমরা ৩য়।




স্পেনের কাতালোনিয়ানরা গত বছর আমার জন্মদিনে স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিল। লাভ হয় নাই খুব বেশি। স্পেন তাদের কোণঠাসা করে রেখেছে। ঘোষণাকারী “পুজমন” অলরেডি গ্রেফতারী পরোয়ানা নিয়ে নির্বাসনে আছেন।
তার এক মাস আগে ইরাকের কুর্দিরাও স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করে। কিন্তু স্বাধীন- সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে পারেনি।
যুগে যুগে আরও বহু রাষ্ট্র স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ছিল। কিন্তু পরমহুর্তে-ই মশার কামড়ে ঘুম ভেঙে গেছে।




কারণ তাদের বঙ্গবন্ধুর মত অনুপ্রেরণাদানকারী নেতা ও তাজউদ্দিনের মত সৎ, দৃঢ়চেতা যুদ্ধ পরিচালনাকারী ছিল না।