









সুমাইয়ারার পৈতৃক বাড়ি হচ্ছে মাগুরা জেলায় কিন্তু বড় হয়েছেন বাংলাদেশে ঢাকার মালিবাগে। তার বয়স ২৪ বছর এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।দেশে এস এস সি এবং এইচ এস সি শেষ করে ২০১৫ সালে সুমাইয়ারা তার বড়ভাইসহ বাংলাদেশ থেকে আসেন ইতালির রোম শহরে লেখাপড়ার জন্য।





তারভাই রোমার তোরবেরগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে,সুমাইয়ারা তরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং বর্তমানে অধ্যয়নরত আছেন।তার পরিচয় হয় দমিনিকোয়া সাথে এবং শখ্যতা গড়ে উঠে।অবশেষে দমিনিকো তাকে বিয়ের কথা বললে সুমাইরা বলেন একজন বিধর্মীকে সে বিয়ে করতে পারবেনা।যদি বিয়ে করতে চায় তবে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে হবে তাহলে সুমাইয়ার অভিভাবক কে রাজি করাতে পারবেন অন্যথায় অসম্ভব!





অবশেষে দমিনিকো তামবুররিনো বিয়ের ৬ মাস আগেই নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে আইনগতভাবে যা যা করতে হয় সেসব করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশে গিয়ে গত মার্চ মাসের ৭ তারিখ মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।





তারা বাংলাদেশে ৩ মাস বসবাস করেন এবং দেশে থাকাকালীন সময়ে ইসলাম ধর্মীয় সকল রীতিনীতি মেনে চলেন।দোমিনিকো তাম্বুররিনো পেশায় একজন ক্যারাবিনিয়ারির মারেশাল্লো পদে আছেন এবং তার কর্মস্থল আল্পসের পাদদেশে অবস্থিত সুন্দর শহর তরিনোতে।





আমাদের সকলেরই অন্যের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে ভালোভাবে না জেনে মন্তব্য করা উচিত না।সুমাইয়ারার বাবা মা যদি সবকিছুই মেনে নেন তাহলে আমার আপনার বাজে মন্তব্য করার প্রয়োজন কি? পারলে নবদম্পতির জন্য দোয়া করুন যেন ইসলামের সঠিক পথে থাকতে পারেন।
আরো পড়ুন-জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আবারও প্রথম হলেন বাংলাদেশ





জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের দুটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এক একটি হচ্ছে, এ মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে দীর্ঘদিন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পর আবারও প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী গত ৩১ আগস্ট শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা মোট ছয় হাজার ৭৩১ জনে উন্নীত হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মর্যাদা লাভ করে।





দ্বিতীয় সাফল্য হচ্ছে বাংলাদেশি একজন সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার নির্বাচিত হয়েছেন।
আইএসপিআর আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে।





সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগেও বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স কমান্ডার ও ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের গৌরব অর্জন করেছেন।





জানা যায়, সামরিক ও পুলিশ শান্তিরক্ষী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর আগেও অনেক বছর শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ২৮ মাসের মধ্যে ২০ মাসই বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। এর আগে ও পরে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী প্রথম সারির দেশগুলোর তালিকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়।





জাতিসংঘের ‘ডিপার্টমেন্ট অব পিসকিপিং অপারেশন্স’-এর ওয়েবসাইটে শান্তিরক্ষা মিশনে কোন দেশ কত সামরিক ও পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছে, তার বছর ও মাসভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এতে সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তথ্য রয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সব চেয়ে বেশি সামরিক ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ছয় হাজার ৪৭৭ জন পুরুষ ও ২৫৫ জন নারী মিলিয়ে মোট ছয় হাজার ৭৩১ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন।





দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইথিওপিয়া। এ দেশটির শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৬২ জন। এ ছাড়া ছয় হাজার ৩২২ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রুয়ান্ডা, পাঁচ হাজার ৬৮২ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে নেপাল।





পাঁচ হাজার ৩৫৩ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে ভারত, চার হাজার ৪৪০ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে ৬ষ্ঠ অবস্থানে পাকিস্তান এবং তিন হাজার ৯৩ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে মিশর।





প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালের ইরাক-ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া শুরু হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এ মিশনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ১৯৯৩ সাল থেকে। বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা এ মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছেন ১৯৮৯ সাল থেকে।





আইএসপিআরের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত মে মাস পর্যন্ত বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশনে এক লাখ ৭০ হাজার ২৪৩ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের নারী শন্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন এক হাজার ৮০৩ জন। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ২৫৫ জন। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্বের ১১টি দেশে। ঝুঁকিপুর্ণ এ দায়িত্ব পালনের সময় জীবন দিতে হয়েছে ১৫১ জনকে।
























