







মহামা’রি করো’নাভাই’রাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাসুল বা জ’রিমানা জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে বিল না দিলে আবাসিক গ্রাহকদের লাইন কে’টে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।




মঙ্গলবার (৯ জুন) প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ভাই’রাসের সংক্রমণের ঝুঁ’কি থেকে বাঁচতে আম’রা তিন মাসের সুবিধা দিয়েছিলাম। জুন পর্যন্ত এই সময়সীমা দেয়া হয়েছিল। এরপর যদি কেউ বিল না দেয় তাহলে লাইন কে’টে দেবে বিতরণ কোম্পানিগুলো।




গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন বলেন, আম’রা গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। জুন মাস পর্যন্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন তো গ্রাহকদের উচিত বিল পরিশোধ করা।
তিনি বলেন, জ্বালানি বিভাগ যা সিদ্ধান্ত নেবে তা-ই করা হবে। তবে কেউ যদি ১/২ মাসের বিল দিতে শুরু করে তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।




এর আগে গত ২২ মা’র্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি থেকে মে- এই চার মাসের গ্যাসের বিল আগামী জুনে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল মে মাসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কোনো বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ দিতে হবে না গ্রাহককে।




জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আবাসিক গ্যাস বিল নির্ধারিত সময় জমা দিতে বিপুল পরিমাণ গ্রাহক ব্যাংকে একসঙ্গে গিয়ে জমা হয়। এভাবে অনেক মানুষ একসঙ্গে ব্যাংকে গিয়ে বিল দিতে গেলে করো’নাভাই’রাস বা ‘কোভিড–১৯’ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁ’কি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ‘গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি (গৃহস্থালি) ২০১৪’ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবাসিক গ্রাহকেরা কোনো রকম বিলম্ব মাশুল বা সার চার্জ ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মা’র্চ, এপ্রিল ও মে মাসের গ্যাস বিল আগামী জুন মাসের সুবিধাজনক সময় জমা দিতে পারবেন।




বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিটি দেন উপসচিব আইরিন পারভিন। চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণের ভ’য়ে গ্রাহকদের পক্ষে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। ফেব্রুয়ারি, মা’র্চ ও এপ্রিল মাসের বিল কোনো রকম বিলম্ব মাশুল ছাড়া মে মাসে জমা নেয়ার জন্য বিইআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়।




এরপর গত ৩১ মে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কোনো রকম বিলম্ব মাসুল বা জ’রিমানা ছাড়া ৩০ জুনের মধ্যে বিদ্যুতের বিল জমা দেয়া যাবে।




প্রসঙ্গত, দেশে ৪০ লাখ গ্রাহক আবাসিকে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাসের রয়েছে সাড়ে ২৮ লাখ গ্রাহক। আর দেশের ৯৬ ভাগ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে।



















